এই কার্ড থাকলেই প্রতি মাসে পাবেন সকলেই ৩,০০০ টাকা করে, বিস্তারিত জেনে নিন | E-shram Card Apply Now
আমাদের দেশের বেকার যুবক যুবতী ও খেটে খাওয়া দিন মজুর শ্রেণীর মানুষদের কল্যাণার্থে একটি বিশেষ প্রকল্প নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের আর্থিক দিক থেকে সহায়তা করাই হল এই প্রকল্প চালুর মূখ্য উদ্দেশ্য। বিশেষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের বেকার যুবক যুবতী, দিনমজুর ও অস্থায়ী শ্রমিক শ্রেণীর মানুষেরা প্রতি মাসে মাসে ৩ হাজার টাকা করে ভাতা লাভ করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ এই প্রকল্পের দ্বারা দেশের বেকার যুবক যুবতী ও দিনমজুর শ্রেণীর মানুষদের ই- শ্রম কার্ড নামে একটি বিশেষ কার্ড দেওয়া হয়ে থাকে। আপনি যদি একজন বেকার যুবক বা যুবতী বা দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ হয়ে থাকেন আর আপনার কাছে যদি এই ই- শ্রম কার্ড না থেকে থাকে তাহলে যত শীঘ্র সম্ভব এই কার্ডের জন্য আবেদন করে ফেলুন। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে ভাতা লাভ করুন। আবেদন করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন ই -শ্রম কার্ড কি? এই কার্ড পাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে? কি ধরনের যোগ্যতা থাকতে হবে? এইসব বিষয় গুলির সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন। মাসিক ভাতা দেওয়া ছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় পেনশন, স্বাস্থ্যবীমা সহ আরও বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়।
ই- শ্রম কার্ড কি?
ই- শ্রম কার্ড আমাদের দেশের বেকার যুবক যুবতী ও অস্থায়ী দিনমজুর শ্রেণীর মানুষদের পরিচয়পত্র হিসেবে কাজ করে। এটি তাদের আর্থিক সাহায্য মূলক উৎস হিসেবেও কাজ করে। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই কার্ড চালু করেছিলেন। বর্তমানে সারা ভারতবর্ষ মিলিয়ে মোট ২৯ কোটি মানুষ এই ই- শ্রম কার্ডের সুবিধা ভোগ করছেন।
ই- শ্রম কার্ডের সুবিধা:-
আপনি যদি একজন বেকার যুবক যুবতী বা দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ হয়ে থাকেন এবং আপনার কাছে যদি এই ই- শ্রম কার্ড থেকে থাকে তাহলে আপনি নিম্নোক্ত সুবিধা গুলি লাভ করতে পাবেন। যেমন-
১) ৬০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়া মাত্রই আপনাকে প্রতি মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ৩ হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে।
২) কোনো ই- শ্রম কার্ড হোল্ডার যদি কোনো সময় কোনো রকম দুর্ঘটনার শিকার হন তাহলে তাকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ১ লক্ষ টাকার বীমা প্রদান করা হবে। অন্যদিকে যদি সেই ব্যাক্তি দুর্ঘটনায় মারা যান তাহলে সেক্ষেত্রে সেই মৃত ব্যাক্তির পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার বীমা প্রদান করা হবে।
৩) এছাড়াও এই কার্ড থাকলে প্রধানমন্ত্রী গ্ৰামীন আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা, প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনা ইত্যাদির সুবিধা পাওয়া যাবে।
ই -শ্রম কার্ড পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা:-
ই -শ্রম কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর যে যে যোগ্যতা গুলি থাকতে হবে সেগুলি হল-
১) আবেদনকারীকে হয় একজন বেকার যুবক বা যুবতী হতে হবে অথবা তাকে যে কোনো অস্থায়ী ধরনের কাজ যেমন দিনমজুর, রাজমিস্ত্রি, কৃষিকাজ এই জাতীয় কাজ করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করে থাকতে হবে তবেই সেই ব্যাক্তি এই কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন নচেৎ পারবেন না।
২) আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতের একজন স্থায়ী নাগরিক হতে হবে এবং আবেদনকারীর বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৬ বছর থেকে সর্বাধিক ৫৯ বছরের মধ্যে।
৩) যদি এমনটা হয়ে থাকে যে আবেদনকারী কোনো PF বা ESI এর সুবিধা ভোগ করছেন তাহলে সেক্ষেত্রে তিনি এই কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন জানানোর ক্ষেত্রে যোগ্য নন।
ই- শ্রম কার্ড পাওয়ার আবেদন পদ্ধতি:-
এই কার্ড পাওয়ার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। তার জন্য যে যে পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে সেগুলি হল-
১) সবার প্রথমে eshram.gov.in এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
২) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেখানে Register On e-Shram অপশনে ক্লিক করুন।
৩) তারপর রেজিস্ট্রেশন লিংকে ক্লিক করে একটি বৈধ মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
৪) রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে Apply Now অপশনে ক্লিক করলে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম আসবে সেখানে সঠিক তথ্য বসিয়ে ফর্মটি ফিলাপ করতে হবে।
৫) সবশেষে আপনার নিজের যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথিপত্র স্ক্যান করে আপলোড করুন। সবকিছু হয়ে গেলে সাবমিট অপশনে ক্লিক করলেই আবেদন হয়ে যাবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:-
ই- শ্রম কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করার সময় যে যে ডকুমেন্টস গুলি আপলোড করতে হবে সেগুলি হল-
১) দেশের স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণ পত্র হিসেবে আধার কার্ড।
২) আধার কার্ড লিঙ্ক করা রয়েছে এমন একটি বৈধ মোবাইল নাম্বার।
৩) আবেদনকারীর নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রথম পাতার জেরক্স।
ই- শ্রম কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া অন্যান্য সুবিধা:-
উক্ত সুবিধা গুলি পাওয়া ছাড়াও এই কার্ড থাকলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বা খুবই সামান্য খরচে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তি হওয়া যাবে। এছাড়াও এই কার্ড থাকলে যে কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে খুবই সামান্য পরিমাণ সুদে খুব সহজেই ঋন পাওয়া যাবে। সুতরাং আপনি যদি এই কার্ড পাওয়ার জন্য যোগ্য হয়ে থাকেন অথচ এখনো পর্যন্ত এই কার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে আর দেরি না করে আজই এই কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করে ফেলুন আর এই প্রকল্পের সুবিধা লাভ করুন।
আরও পড়ুন: CLICK HERE