লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ২,১০০ টাকা করা হল, জানুন তাড়াতাড়ি | lakshmir bhandar Prakalpa Big Update

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ২,১০০ টাকা করা হল, জানুন তাড়াতাড়ি | lakshmir bhandar Prakalpa Big Update

বাংলার মা বোনেদের জন্য এক দুর্দান্ত খুশির খবর। নতুন বছরের শুরুতেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে ফের এক নয়া আপডেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতার পরিমাণ বেড়ে ২,১০০ টাকা হতে চলেছে। কবে থেকে বাড়ানো হচ্ছে এই ভাতার পরিমাণ? কোন মাস থেকে এই বর্ধিত ভাতা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের গ্ৰাহকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে? আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা এইসব বিষয় গুলি নিয়েই আলোচনা করবো। এই প্রশ্ন গুলির সঠিক উত্তর জানতে প্রতিবেদনটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়ুন।

রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলা থেকে পুরুষ, যুবক থেকে যুবতী, পড়ুয়া থেকে বৃদ্ধ বৃদ্ধা সকলের কল্যানের কথা চিন্তা করে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন। এইসব প্রকল্প গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, তরুণের স্বপ্ন ইত্যাদি। এইসব প্রকল্প গুলির মাধ্যমে প্রত্যেক মাসে মাসে ভাতা পেয়ে থাকেন রাজ্যবাসীরা।

রাজ্য সরকারের এইসব প্রকল্প গুলির মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় প্রকল্পটির নাম হল লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের রাজ্যে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারী সর্বনিম্ন ২৫ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলাদের প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হয়। বর্তমানে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের ১,০০০ টাকা করে ও সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলাদের ১,২০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের এই ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ২,১০০ টাকা পর্যন্ত করা হবে। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তবে আগামী ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটের আগে এই ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় মাসিক ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারী মহিলার নিম্নলিখিত যোগ্যতা গুলি থাকা আবশ্যিক। যেমন-

১) আবেদনকারী মহিলাকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

২) আবেদনকারী মহিলার বয়স ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

৩) আবেদনকারী মহিলার নিজের নামে পার্সোনাল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাবে না।

৪) ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কে ওয়াই সি জমা করে থাকতে হবে। তা না হলে এই প্রকল্পের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকবে না।

৫) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বারের সাথে আধার কার্ডের নাম্বার লিঙ্ক করা থাকতে হবে তবেই এই প্রকল্পের টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে নচেৎ ঢুকবে না।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করার উদ্দেশ্য কি?

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ঘরে ঘরে প্রতিটি মহিলাকে আর্থিক দিক থেকে সাবলম্বী করে তুলতে চালু করেছেন। এই প্রকল্পের আওতায় পাওয়া মাসিক ভাতা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বহু মহিলা ইতিমধ্যেই ছোট খাটো ব্যাবসা করে আর্থিক দিক থেকে স্বাধীন হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। আর আগামী দিনে যদি সত্যিই এই ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাহলে বাংলার মহিলারা আরও বেশি করে উপকৃত হবেন।

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতা বাড়ার সুখবর টি পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছেন বাংলার মা বোনেরা। তাই বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে মা বোনেদের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২,১০০ টাকা করে ভাতা পেতে হলে যত শীঘ্র সম্ভব নিজের নামে একটি পার্সোনাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলুন ও তার সঙ্গে আধার নম্বরকে লিংক করান ও সেই অ্যাকাউন্টের কে ওয়াই সি জমা দিন। কারন খুব শীঘ্রই এই প্রকল্পের ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর দিনক্ষণ ঘোষণা করবে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: CLICK HERE 

Join Telegram Channel: CLICK HERE 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *